মৃত্যু ও পৃথিবীর জীবন
------------------------------
সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা দিয়ে সাজানো আমাদের এই পৃথিবীর জীবন। কত মানুষ এই পৃথিবীতে ছিল, আজ তাদের পায়ের শব্দ এ পৃথিবীতে ধ্বনিত হয় না, আজ তাদের কোন সাড়া শব্দ শুনা যায় না, শুনা যায় না তাদের মুখের মিস্টিমাখা কথাগুলো, দেখা যায় না হৃদয়কাড়া হাসিখানি। তারা আজ এই পৃথিবী নামক জীবন থেকে চীর বিদায় নিয়ে কবরের জীবনে পারি জমিয়েছে। একদিন আমি আপনি সেই কবরের জীবনে পারি জমাবো। আমার আপনার পায়ের পদচিহ্ন সেদিন আর পরবে না এই পৃথিবীর বুকে। আমার আপনার প্রানচ্ছল মুখের মিস্টিমাখা হাসি আর সেদিন দেখবে না পৃথিবীবাসী, দেখবে না আপনার মায়াজুড়ানো মুখখানি। এভাবেই একদিন কালে কালে কেটে যাবে অনেকদিন। হয়তো সেদিন আমার আপনার কথাটাও ভুলে যাবে পৃথিবীবাসী।
আচ্ছা পৃথিবীর জীবন এমন কেন? এই প্রশ্ন নিজেকে করেছেন কখনো? কেনইবা আমরা পৃথিবীতে আসলাম আর কেনইবা পৃথিবী থেকে বিদায় নিলাম? ভেবেছেন কখনো। আমাদের জীবনের আসল লক্ষ্য উদ্দেশ্য কী? চিন্তা করেছেন কখনো? এসব প্রশ্ন নিয়ে এখনই ভাবতে হবে আমাদের। সময় ফুরিয়ে আসছে। কবর আমাকে আপনাকে প্রতিদিন ডাকতেছে। মৃত্যু এইতো খুব নিকটেই। মৃত্যুর জন্য কি প্রস্তুত হয়েছি আমরা? মৃত্যু একটি কঠীন বিষয়। আমাদের দেহের মধ্যে রুহ নামক একটি বস্তু রয়েছে। যেটা দেহের সমস্ত অঙ্গের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। আজরাইল আঃ যখন রুহটা দেহ থেকে বের করবে তখন শরীরের রগে রগে শিরায় শিরায় হাড্ডি অস্থি মজ্জা সমস্তকিছুতে তার তীব্র অনুভূতি সৃষ্টি হবে। আমি আপনি একটু উহ বলার শক্তিটুকু সেদিন পাবো না। মৃত্যুর যন্ত্রণা এমন যেমন একটা তাজা ছাগলের চামড়া ছুলে ফেললে যেমন ছটফট করে এর চেয়েও বেশী।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেনঃ
মৃত্যুযন্ত্রণা নিশ্চিতই আসবে। এ থেকেই তুমি টালবাহানা করতে। (সূরা ক্বাফ:19)
আমাদের সকলের উচিত আমাদের নিজ নিজ জীবন সমন্ধে একটু চিন্তা করা। মৃত্যুর পরবর্তী জীবন হবে চিরস্থায়ী জীবন। আর সেটাই হবে প্রকৃত জীবন। সেই জীবনকে সুখময় করতে এখন থেকেই আমাকে আপনাকে তার মেহনত করতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেনঃ
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের অভ্যর্থনার জন্য আছে জান্নাতুল ফেরদৌস। সেখানে তারা চীরকাল থাকবে, সেখান থেকে স্থান পরিবর্তন করতে চাইবে না। (সূরা কাহাফঃ ১০৭, ১০৮)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সেই জান্নাতের জীবন দান করুন।
------------------------------
সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা দিয়ে সাজানো আমাদের এই পৃথিবীর জীবন। কত মানুষ এই পৃথিবীতে ছিল, আজ তাদের পায়ের শব্দ এ পৃথিবীতে ধ্বনিত হয় না, আজ তাদের কোন সাড়া শব্দ শুনা যায় না, শুনা যায় না তাদের মুখের মিস্টিমাখা কথাগুলো, দেখা যায় না হৃদয়কাড়া হাসিখানি। তারা আজ এই পৃথিবী নামক জীবন থেকে চীর বিদায় নিয়ে কবরের জীবনে পারি জমিয়েছে। একদিন আমি আপনি সেই কবরের জীবনে পারি জমাবো। আমার আপনার পায়ের পদচিহ্ন সেদিন আর পরবে না এই পৃথিবীর বুকে। আমার আপনার প্রানচ্ছল মুখের মিস্টিমাখা হাসি আর সেদিন দেখবে না পৃথিবীবাসী, দেখবে না আপনার মায়াজুড়ানো মুখখানি। এভাবেই একদিন কালে কালে কেটে যাবে অনেকদিন। হয়তো সেদিন আমার আপনার কথাটাও ভুলে যাবে পৃথিবীবাসী।
আচ্ছা পৃথিবীর জীবন এমন কেন? এই প্রশ্ন নিজেকে করেছেন কখনো? কেনইবা আমরা পৃথিবীতে আসলাম আর কেনইবা পৃথিবী থেকে বিদায় নিলাম? ভেবেছেন কখনো। আমাদের জীবনের আসল লক্ষ্য উদ্দেশ্য কী? চিন্তা করেছেন কখনো? এসব প্রশ্ন নিয়ে এখনই ভাবতে হবে আমাদের। সময় ফুরিয়ে আসছে। কবর আমাকে আপনাকে প্রতিদিন ডাকতেছে। মৃত্যু এইতো খুব নিকটেই। মৃত্যুর জন্য কি প্রস্তুত হয়েছি আমরা? মৃত্যু একটি কঠীন বিষয়। আমাদের দেহের মধ্যে রুহ নামক একটি বস্তু রয়েছে। যেটা দেহের সমস্ত অঙ্গের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। আজরাইল আঃ যখন রুহটা দেহ থেকে বের করবে তখন শরীরের রগে রগে শিরায় শিরায় হাড্ডি অস্থি মজ্জা সমস্তকিছুতে তার তীব্র অনুভূতি সৃষ্টি হবে। আমি আপনি একটু উহ বলার শক্তিটুকু সেদিন পাবো না। মৃত্যুর যন্ত্রণা এমন যেমন একটা তাজা ছাগলের চামড়া ছুলে ফেললে যেমন ছটফট করে এর চেয়েও বেশী।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেনঃ
মৃত্যুযন্ত্রণা নিশ্চিতই আসবে। এ থেকেই তুমি টালবাহানা করতে। (সূরা ক্বাফ:19)
আমাদের সকলের উচিত আমাদের নিজ নিজ জীবন সমন্ধে একটু চিন্তা করা। মৃত্যুর পরবর্তী জীবন হবে চিরস্থায়ী জীবন। আর সেটাই হবে প্রকৃত জীবন। সেই জীবনকে সুখময় করতে এখন থেকেই আমাকে আপনাকে তার মেহনত করতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে ইরশাদ করেনঃ
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের অভ্যর্থনার জন্য আছে জান্নাতুল ফেরদৌস। সেখানে তারা চীরকাল থাকবে, সেখান থেকে স্থান পরিবর্তন করতে চাইবে না। (সূরা কাহাফঃ ১০৭, ১০৮)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সেই জান্নাতের জীবন দান করুন।

লেখক: 
