আদর করে স্ত্রীকে ছোট ও প্রিয় নামে ডাকা সুন্নাহ
.
আজকাল কিছু মানুষকে দেখা যায়, মোবাইলে তারা স্ত্রীর নাম্বার সেইভ করে বিভিন্ন কুৎসিত নামে। কেউ নাম দেয়, 'আপদ', কেউ দেয় 'বালাই', কেউ দেয় 'জিন্দেগির ভুল' আবার কেউ এক ধাপ এগিয়ে নাম দেয় শয়তানা! অন্যদিকে কিছু মানুষ আছে যারা স্ত্রীর নাম সেইভ করে সুন্দর সুন্দর নামে। যেমন: প্রিয়, জান, প্রাণ, জীবনসাথি, আকাশের চাঁদ, অমুকের মা ইত্যাদি।( প্রথমটা হলো খুবি জঘন্যতম কাজ আর দ্বিতীয়টি হলো, প্রিয়তম রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ)
.
আয়িশা (রা.) বলেন, 'রাসুল (সা.) একদিন আমাকে বললেন, "হে আয়িশ, জিবরাইল তোমাকে সালাম দিচ্ছেন। "' তখন আয়িশা (রা.) বললেন, তাঁর ওপরও আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। (১)
.
রাসুল (সা.) আয়িশা (রা.)-কে হুমাইরা নামেও ডাকতেন। আয়িশা (রা.) বলেন, 'কিছু হাবশি বালক মসজিদে খেলাধুলা করছিল। নবিজি ( সা.) আমাকে ডেকে বললেন, "হুমাইরা, তুমি কি তাদের খেলাধুলা দেখতে চাও?" আমি উত্তর দিলাম, "হাঁ। (২)
.
কাজি ইয়াজ বলেন, "আদর-সোহাগ ও ভালোবাসা প্রকাশে তিনি হুমাইরা নামে ডেকেছিলেন তাকে। (৩)
.
রাসুল (সা.) আয়িশা (রা.)-কে উম্মে আব্দুল্লাহ উপনামেও ডাকতেন। আয়িশা (রা.) বলেন, 'আব্দুল্লাহ বিন জুবাইরের জন্মের পর তাকে নিয়ে আমি নবিজি (সা.)-এর কাছে আসলাম। আব্দুল্লাহর মুখের ভিতর তিনি নিজের লালা দিলেন। আব্দুল্লাহর পেটে ঢোকা দুনিয়ায় প্রথম জিনিস ছিলো রাসুল (সা.)-এর মুখের লালা। তিনি বললেন, "এ হলো আব্দুল্লাহ। আর তুমি উম্মে আব্দুল্লাহ।" এরপর থেকে আমাকে এ উপনামেই ডাকা হয়। যদিও কখনো আমার সন্তান হয়নি। (৪)
.-------------------------------------
১- বুখারি: ৩২১৭, মুসলিম: ২৪৪৭।
২-আস-সুনানুল কুবরা: ৮৯৫১।
৩- মাশারিকুল আনওয়ার: ১/৭০২।
৪- ইবনে হিব্বান: ৭১১৭।
.------------------------------------
বই: 'যেমন ছিলেন তিনি'
রুহামা পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত
.
( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
.
.
ইনশাআল্লাহ বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
collected
.
আজকাল কিছু মানুষকে দেখা যায়, মোবাইলে তারা স্ত্রীর নাম্বার সেইভ করে বিভিন্ন কুৎসিত নামে। কেউ নাম দেয়, 'আপদ', কেউ দেয় 'বালাই', কেউ দেয় 'জিন্দেগির ভুল' আবার কেউ এক ধাপ এগিয়ে নাম দেয় শয়তানা! অন্যদিকে কিছু মানুষ আছে যারা স্ত্রীর নাম সেইভ করে সুন্দর সুন্দর নামে। যেমন: প্রিয়, জান, প্রাণ, জীবনসাথি, আকাশের চাঁদ, অমুকের মা ইত্যাদি।( প্রথমটা হলো খুবি জঘন্যতম কাজ আর দ্বিতীয়টি হলো, প্রিয়তম রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ)
.
আয়িশা (রা.) বলেন, 'রাসুল (সা.) একদিন আমাকে বললেন, "হে আয়িশ, জিবরাইল তোমাকে সালাম দিচ্ছেন। "' তখন আয়িশা (রা.) বললেন, তাঁর ওপরও আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। (১)
.
রাসুল (সা.) আয়িশা (রা.)-কে হুমাইরা নামেও ডাকতেন। আয়িশা (রা.) বলেন, 'কিছু হাবশি বালক মসজিদে খেলাধুলা করছিল। নবিজি ( সা.) আমাকে ডেকে বললেন, "হুমাইরা, তুমি কি তাদের খেলাধুলা দেখতে চাও?" আমি উত্তর দিলাম, "হাঁ। (২)
.
কাজি ইয়াজ বলেন, "আদর-সোহাগ ও ভালোবাসা প্রকাশে তিনি হুমাইরা নামে ডেকেছিলেন তাকে। (৩)
.
রাসুল (সা.) আয়িশা (রা.)-কে উম্মে আব্দুল্লাহ উপনামেও ডাকতেন। আয়িশা (রা.) বলেন, 'আব্দুল্লাহ বিন জুবাইরের জন্মের পর তাকে নিয়ে আমি নবিজি (সা.)-এর কাছে আসলাম। আব্দুল্লাহর মুখের ভিতর তিনি নিজের লালা দিলেন। আব্দুল্লাহর পেটে ঢোকা দুনিয়ায় প্রথম জিনিস ছিলো রাসুল (সা.)-এর মুখের লালা। তিনি বললেন, "এ হলো আব্দুল্লাহ। আর তুমি উম্মে আব্দুল্লাহ।" এরপর থেকে আমাকে এ উপনামেই ডাকা হয়। যদিও কখনো আমার সন্তান হয়নি। (৪)
.-------------------------------------
১- বুখারি: ৩২১৭, মুসলিম: ২৪৪৭।
২-আস-সুনানুল কুবরা: ৮৯৫১।
৩- মাশারিকুল আনওয়ার: ১/৭০২।
৪- ইবনে হিব্বান: ৭১১৭।
.------------------------------------
বই: 'যেমন ছিলেন তিনি'
রুহামা পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত
.
( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
.
.
ইনশাআল্লাহ বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
collected

লেখক: 