যাদের জীবনে আল্লাহর ভয় নাই, তারা এইসব ক্ষেত্রে নিজস্ব কিছু ভাবনা দাঁড় করিয়ে সেগুলোর উপরে ভিত্তি করে চলতে থাকে। বিবাহিত হয়েও তাই অন্য নারীর সাথে ইটিশ-পিটিশ করার মাঝে তার অপরাধবোধ হয় না। বরং সেই পাপকাজের মাঝে সে 'নতুন ফ্লেভার' খুঁজে পায়। রূপের পেছনে ছোটা পুরুষেরা তাই পুরাতন রূপওয়ালীর প্রতি বোরড হয়ে যায়, নতুন পাপাচারের সূচনা হয়। তেমনি সম্পদের প্রতি অতি-আগ্রহী নারীরা এমন এক সত্ত্বা যার ক্ষুধা পূরণ করতে পারে না তার অনেক সম্পদশালী স্বামীও। যতই থাকুক, তার আরো বেশি প্রয়োজন মনে হতে থাকে, অন্য নারীদের সাথে তার প্রতিযোগিতা হতে থাকে অলংকারের, বিলাশব্যসনের, শপিং আর বেড়াতে যাওয়ার...
একটা বিষয় খুব সূক্ষ্ম। যার রূপ থাকে কিংবা যার সম্পদ থাকে, বড় পরিবারের বলে একটা সূক্ষ্ম গর্ব বা অহং থাকে -- তারা অপরকে তেমন একটা শ্রদ্ধা করেন না। নিজের রূপে, নিজের গুণে, নিজের সম্পদের প্রাচুর্যে মুগ্ধ মানুষগুলো অপরকে সহজে সম্মান করতে চায় না -- তারা খুব কমই অনুভব করে যে এই দুনিয়ার সব সুবিধা ও ভোগের বিষয়গুলো আল্লাহর দান, তিনি চাইলেই সব উঠিয়ে নিতে পারেন এবং তার কাছে সবাইকে ফিরে যেতে হবেই।
জীবনের সঙ্গী খুঁজতে এসে তাই দ্বীন ছেড়ে বা দ্বীনদারীর বুঝকে একটু *মডিফাই* করে যারাই এগিয়েছেন, তারাই পরে আফসোস করেছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। জীবনে যারা শান্তি চান, তারা রাসূলের (সা) নির্দেশিত পথেই এগিয়ে চলেন। তারা মূলতই দ্বীনদার মানুষ খুঁজেন। এই দ্বীনদার মানে কোনরকম দ্বীন মানা লোক না কিন্তু! নামাজ পড়ি, আরো বাকিগুলা ঠিক করে ফেলবো কিছুদিন পরে -- এইরকম ভাবের লোক/মহিলা না। খুঁজবেন তাদেরই যারা ইসলামের কিছু জানার পরেই মেনে নিতে চেষ্টা করেন।
আপনি যখন বিয়েতে আগ্রহী হবেন। খুব সাবধানী ও সতর্ক হউন। আপনার নিয়াতের উপরে ভিত্তি করে আপনি কর্মফল পাবেন।
লিখেছেন - সাফওয়ান

লেখক: 
