ইসলামে নারী

আপনি যখন বিয়েতে আগ্রহী হবেন। খুব সাবধানী ও সতর্ক হউন। আপনার নিয়াতের উপরে ভিত্তি করে আপনি কর্মফল পাবেন।

পাত্রীর রূপের সৌন্দর্য দেখে, পাত্রের ভালো বেতনের চাকুরি অথবা অঢেল সম্পদ দেখে যারা বিয়ে করে, তারা অনেকেই হয়ত খুব বেশি হলে প্রথম কিছুদিন একটা আনন্দের ঘোরে থাকে। এরপরে একসময় বুঝতে পারে জীবনের নানান যন্ত্রণা। একটা মানুষ বিয়ের পর প্রতিটা দিনে, সংসারের প্রায় সকল ঘটনারই সঙ্গী হয়। স্বামী-স্ত্রী যখন একসাথে হয়, যদি একজন আরেকজনকে পাত্তা না দেয় যেকোন কিছুতে, কিংবা মনের ইচ্ছামতন কিছু করার চেষ্টা করে অপরজনকে গোণায় না ধরে -- তখন স্বামী বুঝে অবাধ্য স্ত্রী কেমন তিতা হয়। যদি রগচটা হয়, কিংবা বিরক্তি প্রকাশ করে অল্পতেই তখন জীবন অন্যরকম হয়ে যায়। অথবা যদি সেই পুরুষটি স্বামী হয়েও আবার অন্য কারো রূপে মুগ্ধ হয় , তখন সেই পূর্ববর্তী রূপসী স্ত্রী বুঝে রূপ দেখে যারা মানুষ খোঁজে তারা কত অশান্তির স্বামী হতে পারে...

যাদের জীবনে আল্লাহর ভয় নাই, তারা এইসব ক্ষেত্রে নিজস্ব কিছু ভাবনা দাঁড় করিয়ে সেগুলোর উপরে ভিত্তি করে চলতে থাকে। বিবাহিত হয়েও তাই অন্য নারীর সাথে ইটিশ-পিটিশ করার মাঝে তার অপরাধবোধ হয় না। বরং সেই পাপকাজের মাঝে সে 'নতুন ফ্লেভার' খুঁজে পায়। রূপের পেছনে ছোটা পুরুষেরা তাই পুরাতন রূপওয়ালীর প্রতি বোরড হয়ে যায়, নতুন পাপাচারের সূচনা হয়। তেমনি সম্পদের প্রতি অতি-আগ্রহী নারীরা এমন এক সত্ত্বা যার ক্ষুধা পূরণ করতে পারে না তার অনেক সম্পদশালী স্বামীও। যতই থাকুক, তার আরো বেশি প্রয়োজন মনে হতে থাকে, অন্য নারীদের সাথে তার প্রতিযোগিতা হতে থাকে অলংকারের, বিলাশব্যসনের, শপিং আর বেড়াতে যাওয়ার...

একটা বিষয় খুব সূক্ষ্ম। যার রূপ থাকে কিংবা যার সম্পদ থাকে, বড় পরিবারের বলে একটা সূক্ষ্ম গর্ব বা অহং থাকে -- তারা অপরকে তেমন একটা শ্রদ্ধা করেন না। নিজের রূপে, নিজের গুণে, নিজের সম্পদের প্রাচুর্যে মুগ্ধ মানুষগুলো অপরকে সহজে সম্মান করতে চায় না -- তারা খুব কমই অনুভব করে যে এই দুনিয়ার সব সুবিধা ও ভোগের বিষয়গুলো আল্লাহর দান, তিনি চাইলেই সব উঠিয়ে নিতে পারেন এবং তার কাছে সবাইকে ফিরে যেতে হবেই।

জীবনের সঙ্গী খুঁজতে এসে তাই দ্বীন ছেড়ে বা দ্বীনদারীর বুঝকে একটু *মডিফাই* করে যারাই এগিয়েছেন, তারাই পরে আফসোস করেছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। জীবনে যারা শান্তি চান, তারা রাসূলের (সা) নির্দেশিত পথেই এগিয়ে চলেন। তারা মূলতই দ্বীনদার মানুষ খুঁজেন। এই দ্বীনদার মানে কোনরকম দ্বীন মানা লোক না কিন্তু! নামাজ পড়ি, আরো বাকিগুলা ঠিক করে ফেলবো কিছুদিন পরে -- এইরকম ভাবের লোক/মহিলা না। খুঁজবেন তাদেরই যারা ইসলামের কিছু জানার পরেই মেনে নিতে চেষ্টা করেন।

আপনি যখন বিয়েতে আগ্রহী হবেন। খুব সাবধানী ও সতর্ক হউন। আপনার নিয়াতের উপরে ভিত্তি করে আপনি কর্মফল পাবেন।
আপনার অন্তরের চাওয়ার উপরে ভিত্তি করে আল্লাহ আপনাকে দান করবেন জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী। আপনি এমন কিছুই চান, যা আল্লাহ ও তার রাসূল (সা) শিখিয়েছেন। তাহলে দুনিয়ার সকল ক্ষমতা কেবল যার, সকল কিছুর একচ্ছত্র মালিকানা যার, তিনি আপনাকে বেহিসাব দান করবেন ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দান করুন।

লিখেছেন - সাফওয়ান


আরও নতুন পোষ্ট পরবর্তী পোষ্ট

Related Posts

Facebook