333

ইসলাম ধর্মে হিজড়াদের ধর্ম পালন বা ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গী কি?? হিজড়াদের ব্যাপারে কোরআনের কোন আয়াত বা হদিস আছে কিনা ??

প্রশ্ন :-
 ইসলাম ধর্মে হিজড়াদের ধর্ম পালন বা ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গী কি?? হিজড়াদের ব্যাপারে কোরআনের কোন আয়াত বা হদিস আছে কিনা ??

উত্তর :-

হিজড়া সম্প্রদায় আল্লাহ তাআলারই বান্দা বা বান্দি। তারা আল্লাহ তাআলারই সৃষ্টি। তারাও আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব।

:

 তাদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। তারাও মানুষ। আমাদের মতই মানুষ। তবে যেমন অনেক মানুষের শারিরিক ত্রুটি থাকে। এটিও তাদের তেমনি একটি ত্রুটি। এ ত্রুটির কারণে উক্ত ব্যক্তি মনুষত্ব থেকে বেরিয়ে যায় না। বরং অন্যান্য প্রতিবন্ধিদের মতই তারা আরো বেশি স্নেহ, মমতা ও ভালবাসা পাবার অধিকার রাখে। তাদের ঘৃণা নয় ভালবাসা ও স্নেহ দিয়ে সম্মানের সাথে বাঁচতে দেয়া উচিত। তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা, খারাপ মন্তব্য করা মারাত্মক গোনাহের কাজ।

যেকোন মুসলমানকে গালি দেয়া যেমন পাপ তাদের গালি দেয়া তার চেয়ে বেশি পাপ। কোন মুসলমানকে তাচ্ছিল্য করা যেমন পাপ তাদেরকে তাচ্ছিল্য করা এর চেয়ে কম পাপ নয় বরং আরো বেশি পাপ। কারণ তাদের এ দুর্বলতার কারণে তাদের ঠাট্টা করা মানে হল আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিকে ঠাট্টা করা। আল্লাহর সৃষ্টিকে হাসি তামাশার বিষয় বানানো। তাই এটি খুবই গর্হিত গোনাহের কাজ।

:

 মৌলিকভাবে ইসলামে পুরুষ ও নারীকেই গণ্য করে থাকে। আর যারা উভলিঙ্গ হয়ে থাকেন তারাও মূলত হয় নারী হোন বা পুরুষ হয়ে থাকেন। তাই তাদের ব্যাপারে আলাদা কোন বিধান আরোপ করা হয়নি। যে উভলিঙ্গের অধিকারী ব্যক্তির মাঝে যেটি বেশি থাকবে, তিনি সেই প্রজাতির অন্তর্ভূক্ত হবেন। তাই তাদের ব্যাপারে আলাদা কোন বিধান আরোপ হবার প্রয়োজনই।

 أن عليا رضي الله عنه : سئل عن المولود لا يدري أرجل أم امرأة فقال علي رضي الله عنه يورث من حيث يبول

 হযরত আলী রাঃ কে এমন বাচ্চা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, যার ছেলে বা মেয়ে হওয়া পরিস্কার নয়। তখন হযরত আলী রাঃ বললেন, সে যেভাবে পেশাব করে সে হিসেবে মিরাস পাবে। {সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১২৯৪, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৩০৪০৩, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১৯২০৪}

:

 হিজড়াদের ক্ষেত্রে বিধান হল তাদের নারী বা পুরুষের যে কোন একটি ক্যাটাগরিতে ফেলতে হবে। রাসূল সাঃ এ ব্যাপারে একটি মূলনীতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেটা হল, দেখতে হবে হিজড়ার প্রস্রাব করার অঙ্গটি কেমন? সে কি পুরুষদের গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে? না নারীদের মত গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে? গোপনাঙ্গ যাদের মত হবে হুকুম তাদের মতই হবে।

 অর্থাৎ গোপনাঙ্গ যদি পুরুষালী হয়, তাহলে পুরুষ। যদি নারীর মত হয়, তাহলে নারী। আর যদি কোনটিই বুঝা না যায়। তাহলে তাকে নারী হিসেবে গণ্য করা হবে। সেই হিসেবেই তাদের উপর শরয়ী বিধান আরোপিত হবে।

 সুতরাং ইসলামে হিজড়াদের ব্যাপারে কিছু বলা নাই বলাটা মুর্খতা বৈ কিছু নয়।

Copy
আরও নতুন পোষ্ট পরবর্তী পোষ্ট

Related Posts

There is no other posts in this category.

Facebook