আজ যে লোকটি টাখনুর ওপরে কাপড় রেখে বাইরে বেরোয়, তাকে দেখলে তোমার
খুব হাসি পায়। মনে মনে ভাবো—‘বর্ষার কোনো নাম-গন্ধ নেই, অথচ লোকটি পাজামা কোথায় তুলেছে। ছি! দেখতে কেমন অড লাগে।’
তোমার যে ফ্রেন্ড বড়ো দাড়ি রেখেছে, কেমন জানি বিরক্তি ভাব জন্ম নেয় তাকে দেখলে। মাঝে মধ্যে তো মুখ ফুটে বলেই ফেলো—‘এসব কী জঙ্গল রেখেছিস? যাক না আর কটা দিন। বুড়ো হ, তারপর না হয় এসব করিস।’ আর হুজুরদের তো তুমি আনকালচার্ড, গেঁয়ো বলে
দিনরাত গালি দাও। মনে মনে এদের সবাইকেই Loser মনে করো।
তোমার দেখা ওই লোকটি, দাড়ি রাখা বন্ধুটি, কিংবা তুমি যাকে গালি দাও সেই
হুজুরটিকে আপাতদৃষ্টিতে লুযার মনে হতে পারে।
তুমি দুনিয়ার চাকচিক্য চেয়েছ, আল্লাহ তোমাকে সেইটেই দিয়েছেন। যেমনটা ফিরআউন রাজত্ব চেয়েছিল আল্লাহ গোটা দুনিয়ার রাজত্ব দান করেছিলেন তাকে।
আজ তুমি যাদের নিয়ে ট্রল করো, ওরা দুনিয়ায় রাজত্ব চায়নি। যাদের লুযার বলো, তারা অন্ধ হয়ে যায়নি ক্যারিয়ারের মোহে। তাই হয়তো ওদের গায়ে Gucci, Lacoste, Polo, Artistry কিংবা Adidas-এর ড্রেস নেই। DKNY Golden,
Baccart, Shalini, Annick Goutal, কিংবা Caron Poivre পারফিউমও ব্যবহার করার সামর্থ্য তাদের হয় না। হয়তো হারাম থেকে বাঁচতে গিয়ে কিছুটা আর্থিক কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ওরা। কিন্তু তবুও তারা লুযার নয়।
-সত্যিকার অর্থে লুযার কারা জানো?
“বলো, আমি কি তো মাদের ওই সব লোকের সংবাদ দেবো, যারা কর্মের দিক থেকে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত (লুযার)? তারা হলো সেসব লোক—দুনিয়ার জীবনে যাদের চেষ্টা-সাধনা ব্যর্থ হয়ে গেছে, আর তারা মনে করছে যে তারা ঠিক কাজটিই করেছে।”
[সূরা আল-কাহাফ, (১৮) : ১০৩-১০৪ আয়াত]
.
কবরের জীবনে ওরা সালাত-সাওম-জিহাদ-যিকির-তিলাওয়াত-সহ অনেক কিছু নিয়ে যাবে। কিন্তু তুমি?
-তুমি কী নেবে বলো?
সখের গিটার, রেভেন-এর ব্ল্যাক সানগ্লাস, পার্পল কালারের প্রিয় শার্ট, সদ্য কেনা লটোর লোফার, অ্যাপলের পিসি, রোলেক্স-এর নতুন রিলিজ হওয়া ঘড়ি, কিউট গার্লফ্রেন্ড—এগুলো? এগুলো কি সাথে নিতে পারবে?
একদিন চোখ খুলে দেখবে ওরাই তোমার চেয়ে বড়ো প্রতিদান পেয়েছে। আর এত বিলাসিতার মধ্যে থেকেও তুমি শূন্য হাতে দৌড়চ্ছ মাঠের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। পাশে কেউ নেই। আগুন
ছাড়া কোনো সঙ্গী নেই তোমার।
সত্যিকার লুযার তো তুমি।
“যারা এ দুনিয়ার জীবন ও তার চাকচিক্য কামনা করে, আমি তাদের কৃতকর্মের ফল দুনিয়াতেই দিয়ে দিই। আর তাদের জন্যে কিছুই কম করা হয় না। তারা এমন লোক যে, আখিরাতে আগুন ছাড়া তাদের জন্যে কিছুই নেই। আর তাদের যাবতীয় কাজকর্মবিফল হবে।”
[সূরা হুদ, (১১) : ১৫ আয়াত]
.
.
📘বইঃ [তুমি ফিরবে বলে. পৃষ্ঠা-২২-২৩]
#FEAR_ALLAH
খুব হাসি পায়। মনে মনে ভাবো—‘বর্ষার কোনো নাম-গন্ধ নেই, অথচ লোকটি পাজামা কোথায় তুলেছে। ছি! দেখতে কেমন অড লাগে।’
তোমার যে ফ্রেন্ড বড়ো দাড়ি রেখেছে, কেমন জানি বিরক্তি ভাব জন্ম নেয় তাকে দেখলে। মাঝে মধ্যে তো মুখ ফুটে বলেই ফেলো—‘এসব কী জঙ্গল রেখেছিস? যাক না আর কটা দিন। বুড়ো হ, তারপর না হয় এসব করিস।’ আর হুজুরদের তো তুমি আনকালচার্ড, গেঁয়ো বলে
দিনরাত গালি দাও। মনে মনে এদের সবাইকেই Loser মনে করো।
তোমার দেখা ওই লোকটি, দাড়ি রাখা বন্ধুটি, কিংবা তুমি যাকে গালি দাও সেই
হুজুরটিকে আপাতদৃষ্টিতে লুযার মনে হতে পারে।
তুমি দুনিয়ার চাকচিক্য চেয়েছ, আল্লাহ তোমাকে সেইটেই দিয়েছেন। যেমনটা ফিরআউন রাজত্ব চেয়েছিল আল্লাহ গোটা দুনিয়ার রাজত্ব দান করেছিলেন তাকে।
আজ তুমি যাদের নিয়ে ট্রল করো, ওরা দুনিয়ায় রাজত্ব চায়নি। যাদের লুযার বলো, তারা অন্ধ হয়ে যায়নি ক্যারিয়ারের মোহে। তাই হয়তো ওদের গায়ে Gucci, Lacoste, Polo, Artistry কিংবা Adidas-এর ড্রেস নেই। DKNY Golden,
Baccart, Shalini, Annick Goutal, কিংবা Caron Poivre পারফিউমও ব্যবহার করার সামর্থ্য তাদের হয় না। হয়তো হারাম থেকে বাঁচতে গিয়ে কিছুটা আর্থিক কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ওরা। কিন্তু তবুও তারা লুযার নয়।
-সত্যিকার অর্থে লুযার কারা জানো?
“বলো, আমি কি তো মাদের ওই সব লোকের সংবাদ দেবো, যারা কর্মের দিক থেকে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত (লুযার)? তারা হলো সেসব লোক—দুনিয়ার জীবনে যাদের চেষ্টা-সাধনা ব্যর্থ হয়ে গেছে, আর তারা মনে করছে যে তারা ঠিক কাজটিই করেছে।”
[সূরা আল-কাহাফ, (১৮) : ১০৩-১০৪ আয়াত]
.
কবরের জীবনে ওরা সালাত-সাওম-জিহাদ-যিকির-তিলাওয়াত-সহ অনেক কিছু নিয়ে যাবে। কিন্তু তুমি?
-তুমি কী নেবে বলো?
সখের গিটার, রেভেন-এর ব্ল্যাক সানগ্লাস, পার্পল কালারের প্রিয় শার্ট, সদ্য কেনা লটোর লোফার, অ্যাপলের পিসি, রোলেক্স-এর নতুন রিলিজ হওয়া ঘড়ি, কিউট গার্লফ্রেন্ড—এগুলো? এগুলো কি সাথে নিতে পারবে?
একদিন চোখ খুলে দেখবে ওরাই তোমার চেয়ে বড়ো প্রতিদান পেয়েছে। আর এত বিলাসিতার মধ্যে থেকেও তুমি শূন্য হাতে দৌড়চ্ছ মাঠের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। পাশে কেউ নেই। আগুন
ছাড়া কোনো সঙ্গী নেই তোমার।
সত্যিকার লুযার তো তুমি।
“যারা এ দুনিয়ার জীবন ও তার চাকচিক্য কামনা করে, আমি তাদের কৃতকর্মের ফল দুনিয়াতেই দিয়ে দিই। আর তাদের জন্যে কিছুই কম করা হয় না। তারা এমন লোক যে, আখিরাতে আগুন ছাড়া তাদের জন্যে কিছুই নেই। আর তাদের যাবতীয় কাজকর্মবিফল হবে।”
[সূরা হুদ, (১১) : ১৫ আয়াত]
.
.
📘বইঃ [তুমি ফিরবে বলে. পৃষ্ঠা-২২-২৩]
#FEAR_ALLAH

লেখক: 
