💛"নারী"💛
.
বাংলায় মাত্র দু'টি অক্ষরের শব্দ 'নারী'। শুধু বর্তমানে নয় পূর্বের ইতিহাস ঘাটলেও এই নারী জাতি সম্পর্কে বেশ আঁতকে উঠা আতীত দেখবেন। যাকগে, মুসলিম হিসেবে সবার সামনে একটা চ্যালেঞ্জ আমি বৈ আপনারাও ছুঁড়তে পারেন যে, পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম-ই নারীদের অধিকার এবং যথাযথ মর্যাদা দিয়েছে। এইটা গায়ের জোরে বলে দিচ্ছি এমনটি নয়। চলুন একটু চোখ বুলায়..
.
জাহেলিয়াতের যুগে নারীদের অবস্থান কিরূপ ছিলো? সে যুগে স্বীয় পিতা তার কন্যা সন্তানকে জ্যান্ত দাফন করতো। শুধু কি তাই? নারীরা ছিল ভোগের পণ্য, যার ইচ্ছা সেই তাদের ব্যবহার করত। এরপর আসলো আলো।
.
“হে কিতাবীগণ, তোমাদের নিকট আমার রাসূল এসেছে, কিতাব থেকে যা তোমরা গোপন করতে, তার অনেক কিছু তোমাদের নিকট সে প্রকাশ করছে এবং অনেক কিছু ছেড়ে দিয়েছে। অবশ্যই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে আলো ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে”। (সূরাহ মায়িদাহ, আয়াত : ১৫)
.
ইসলামে নারীদের মর্যাদা বর্ণণাতীত। আল্লাহ তাআলা নারীদের নামে একক একটি সূরাহ ই নাযিল করলেন 'সূরাহ আন-নিসা'। জাহেলিয়াতের অবসান ঘটিয়ে বিশ্বনবী ﷺ তার কওমের মানুষজনকে নারীর মর্যাদা সম্পর্কে অবহিত করলেন। যেখানে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়া ছিল সমাজের নিকট অপমানের সেখানে আল্লাহ'র রাসূল ﷺ এমন সমাজ প্রতিষ্ঠা করলেন সেখানে কন্যা সন্তানের জন্ম নেয়া হয়ে গেল সম্মানের। আইয়ামে জাহেলিয়াত বিদায় নিল।
স্বীয় মুহাম্মাদ ﷺ ছিলেন তিন পুত্র এবং চার কন্যা সন্তানের জনক (সুবহানাল্লাহ্হি ওয়াবি হামদিহি)। এনাদের মধ্যে রাসূল -এর পুত্র সন্তানের সবাই শৈশবেই মৃত্যু বরণ করেন। বেঁচে ছিলেন উনার কন্যা সন্তানেরা। বিশ্বনবী তার কন্যা সন্তানদের সব থেকে ভালোবেসেছেন। এদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ ফাতিমা রাদিআল্লাহু আনহা-কে সব থেকে বেশি ভালোবাসতেন প্রিয়নবী। বিশ্বনবীর ﷺ এর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ফাতিমা রাদিআল্লাহু আনহা-ই উনার পাশে ছিলেন। তিনিই হবেন জান্নাতের সর্দারিনী।
.
আবার বিশ্বনবী উনার স্ত্রীদেরকে সব থেকে ভালোবাসতেন। তাদের কেউই উনার বিপক্ষে নাশুকরি করেননি বরং সকলেই সন্তুষ্ট ছিল। অন্যদিকে হাদিসের বর্ণণাকারী হিশেবে আয়িশা রাদিআল্লাহু আনহা - ছিলেন অনেক এগিয়ে। এখানে নারীদের ইলম চর্চার বিষয়টি সুস্পষ্ট। ইসলাম নারীদের জ্ঞানার্জনের পূর্ণাঙ্গ সুযোগ দিয়েছে।
.
.
❒ ইসলাম দিয়েছে নারীদের মোহরানা পাওয়ার অধিকারঃ
.
“তোমরা নারীদেরকে সন্তুষ্টচিত্তে মোহর প্রদান করো”। (সূরাহ নিসা, আয়াত : ৪)
.
মোহারে নিহিত নারীর সম্মান, সম্ভার, ইজ্জাত। সেক্ষেত্র ইসলাম বিষয়টি সহজও করেছে, “সর্বোত্তম মোহরানা হচ্ছে- সহজসাধ্য মোহরানা”। (বাইহাকি, ১৪৭২১)
.
.
❒ 'মা' হিসেবে নারীরাঃ
.
পৃথিবীতে সব থেকে বেশি কষ্ট করেন বোধ হয় একজন মা, যখন নিজ শরীরে অন্য আরেকটি শরীর বহন করেন। প্রসব করার বেদনা তো রয়েছেই। গর্ভধারনের কষ্টের কথা বিবেচনা করে ইসলাম নারীদের দিয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা শহীদি মর্যাদা।
.
রাসূল ﷺ বলেন, “কোন গর্ভধারীনি মা যদি তার সন্তানপ্রসব করতে গিয়ে মারা যায় তাহলে আল্লাহ তাকে শহীদি মর্যাদায় আসীন করবেন”। (আবুু দাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত : ১৫১৬)
.
মুআবিয়া ইবনে জাহিমা সালামী (রহঃ)..
.
আমার পিতা জাহিমা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ -এর খিদমতে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! “আমি যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা করেছি। এখন আপনার নিকট পরামর্শ জিজ্ঞাসা করতে এসেছি। তিনি বললেন: তোমার মা আছেন কি? সে বললো: হ্যাঁ। তিনি বললেন: তাঁর খিদমতে লেগে থাক। কেননা, জান্নাত তাঁর দু’পায়ের নিচে”। (সুনানে নাসাঈ : ৩১০৪)
.
এখানেও মা'য়ের হক্ব ইসলাম পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দিয়েছে।
.
.
❒ স্বামীর নিকটঃ
.
রাসূল ﷺ বলেন, “তোমাদের মধ্যে সে লোক সব থেকে উত্তম যে তার স্ত্রীদের নিকট ভালো”। (তিরমীযি : ৩৮৯৫)
.
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, “তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সদাচরণ করো”। (সূরাহ আন-নিসা, আয়াত : ১৯)
অর্থাৎ ইসলাম এখানে স্ত্রীদের সাথে স্বামীর সদাচরণ নিশ্চিত করেছে।
.
.
❒ সম্পত্তির অধিকারঃ
.
ইসলাম দিয়েছে নারীদের সম্পত্তির হিস্যা পাওয়ার অধিকার। সেই সৌভাগ্যবান পিতাদের নবী কারীম -এর হাদিসটি শোনাও যাদের কন্যা সন্তান আছে।
.
“যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তান লালন-পালন করেছে, পুত্র সন্তানকে কন্যাদের ওপর প্রাধান্য দেয়নি, তাদেরকে উত্তম আদশ শিক্ষা দিয়েছে, তাদেরকে বিয়ে দিয়েছে, তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করেছে, সে জান্নাত লাভ করবে”। (আবু দাঊদ : ৫১৪৯)
.
একজন পিতা তার কন্যা সন্তানকে মোট সম্পত্তির তিন ভাগের একভাগ দিবে উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রদান করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন;
.
“আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেন; একজন পুরুষের অংশ দু’জন নারীর সমান। আর যদি শুধু নারীই হয় দু-এর অধিক, তাহলে তাদের জন্যে ওই ত্যাজ্য মালের তিন ভাগের দুই ভাগ। আর যদি (কন্যা) একজনই হয় তাহলে সে জন্য অর্ধেক”। (সুরাহ আন-নিসা : ১১)
এখানেও ইসলাম নারীদের অধিকার নিশ্চিত করেছে।
.
সুতারাং ইসলাম ই একামাত্র ধর্ম যেখানে নারীদের অধিকার সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। পৃথিবীর কোন ধর্ম বা জনপদ এই সুযোগ দেয়নি যতটুটু দ্বীন ইসলাম দিয়েছে।
..
رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا
.
“রয্বীতু বিল্লাহি রব্বাওঁ ওয়াবিল ইসলা-মি দ্বী-নাওঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যা”
.
লিল্লাহিল হামদ..
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
.
.
(Y) শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !
collected
.
বাংলায় মাত্র দু'টি অক্ষরের শব্দ 'নারী'। শুধু বর্তমানে নয় পূর্বের ইতিহাস ঘাটলেও এই নারী জাতি সম্পর্কে বেশ আঁতকে উঠা আতীত দেখবেন। যাকগে, মুসলিম হিসেবে সবার সামনে একটা চ্যালেঞ্জ আমি বৈ আপনারাও ছুঁড়তে পারেন যে, পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম-ই নারীদের অধিকার এবং যথাযথ মর্যাদা দিয়েছে। এইটা গায়ের জোরে বলে দিচ্ছি এমনটি নয়। চলুন একটু চোখ বুলায়..
.
জাহেলিয়াতের যুগে নারীদের অবস্থান কিরূপ ছিলো? সে যুগে স্বীয় পিতা তার কন্যা সন্তানকে জ্যান্ত দাফন করতো। শুধু কি তাই? নারীরা ছিল ভোগের পণ্য, যার ইচ্ছা সেই তাদের ব্যবহার করত। এরপর আসলো আলো।
.
“হে কিতাবীগণ, তোমাদের নিকট আমার রাসূল এসেছে, কিতাব থেকে যা তোমরা গোপন করতে, তার অনেক কিছু তোমাদের নিকট সে প্রকাশ করছে এবং অনেক কিছু ছেড়ে দিয়েছে। অবশ্যই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে আলো ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে”। (সূরাহ মায়িদাহ, আয়াত : ১৫)
.
ইসলামে নারীদের মর্যাদা বর্ণণাতীত। আল্লাহ তাআলা নারীদের নামে একক একটি সূরাহ ই নাযিল করলেন 'সূরাহ আন-নিসা'। জাহেলিয়াতের অবসান ঘটিয়ে বিশ্বনবী ﷺ তার কওমের মানুষজনকে নারীর মর্যাদা সম্পর্কে অবহিত করলেন। যেখানে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়া ছিল সমাজের নিকট অপমানের সেখানে আল্লাহ'র রাসূল ﷺ এমন সমাজ প্রতিষ্ঠা করলেন সেখানে কন্যা সন্তানের জন্ম নেয়া হয়ে গেল সম্মানের। আইয়ামে জাহেলিয়াত বিদায় নিল।
স্বীয় মুহাম্মাদ ﷺ ছিলেন তিন পুত্র এবং চার কন্যা সন্তানের জনক (সুবহানাল্লাহ্হি ওয়াবি হামদিহি)। এনাদের মধ্যে রাসূল -এর পুত্র সন্তানের সবাই শৈশবেই মৃত্যু বরণ করেন। বেঁচে ছিলেন উনার কন্যা সন্তানেরা। বিশ্বনবী তার কন্যা সন্তানদের সব থেকে ভালোবেসেছেন। এদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ ফাতিমা রাদিআল্লাহু আনহা-কে সব থেকে বেশি ভালোবাসতেন প্রিয়নবী। বিশ্বনবীর ﷺ এর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ফাতিমা রাদিআল্লাহু আনহা-ই উনার পাশে ছিলেন। তিনিই হবেন জান্নাতের সর্দারিনী।
.
আবার বিশ্বনবী উনার স্ত্রীদেরকে সব থেকে ভালোবাসতেন। তাদের কেউই উনার বিপক্ষে নাশুকরি করেননি বরং সকলেই সন্তুষ্ট ছিল। অন্যদিকে হাদিসের বর্ণণাকারী হিশেবে আয়িশা রাদিআল্লাহু আনহা - ছিলেন অনেক এগিয়ে। এখানে নারীদের ইলম চর্চার বিষয়টি সুস্পষ্ট। ইসলাম নারীদের জ্ঞানার্জনের পূর্ণাঙ্গ সুযোগ দিয়েছে।
.
.
❒ ইসলাম দিয়েছে নারীদের মোহরানা পাওয়ার অধিকারঃ
.
“তোমরা নারীদেরকে সন্তুষ্টচিত্তে মোহর প্রদান করো”। (সূরাহ নিসা, আয়াত : ৪)
.
মোহারে নিহিত নারীর সম্মান, সম্ভার, ইজ্জাত। সেক্ষেত্র ইসলাম বিষয়টি সহজও করেছে, “সর্বোত্তম মোহরানা হচ্ছে- সহজসাধ্য মোহরানা”। (বাইহাকি, ১৪৭২১)
.
.
❒ 'মা' হিসেবে নারীরাঃ
.
পৃথিবীতে সব থেকে বেশি কষ্ট করেন বোধ হয় একজন মা, যখন নিজ শরীরে অন্য আরেকটি শরীর বহন করেন। প্রসব করার বেদনা তো রয়েছেই। গর্ভধারনের কষ্টের কথা বিবেচনা করে ইসলাম নারীদের দিয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা শহীদি মর্যাদা।
.
রাসূল ﷺ বলেন, “কোন গর্ভধারীনি মা যদি তার সন্তানপ্রসব করতে গিয়ে মারা যায় তাহলে আল্লাহ তাকে শহীদি মর্যাদায় আসীন করবেন”। (আবুু দাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত : ১৫১৬)
.
মুআবিয়া ইবনে জাহিমা সালামী (রহঃ)..
.
আমার পিতা জাহিমা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ -এর খিদমতে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! “আমি যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা করেছি। এখন আপনার নিকট পরামর্শ জিজ্ঞাসা করতে এসেছি। তিনি বললেন: তোমার মা আছেন কি? সে বললো: হ্যাঁ। তিনি বললেন: তাঁর খিদমতে লেগে থাক। কেননা, জান্নাত তাঁর দু’পায়ের নিচে”। (সুনানে নাসাঈ : ৩১০৪)
.
এখানেও মা'য়ের হক্ব ইসলাম পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দিয়েছে।
.
.
❒ স্বামীর নিকটঃ
.
রাসূল ﷺ বলেন, “তোমাদের মধ্যে সে লোক সব থেকে উত্তম যে তার স্ত্রীদের নিকট ভালো”। (তিরমীযি : ৩৮৯৫)
.
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, “তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সদাচরণ করো”। (সূরাহ আন-নিসা, আয়াত : ১৯)
অর্থাৎ ইসলাম এখানে স্ত্রীদের সাথে স্বামীর সদাচরণ নিশ্চিত করেছে।
.
.
❒ সম্পত্তির অধিকারঃ
.
ইসলাম দিয়েছে নারীদের সম্পত্তির হিস্যা পাওয়ার অধিকার। সেই সৌভাগ্যবান পিতাদের নবী কারীম -এর হাদিসটি শোনাও যাদের কন্যা সন্তান আছে।
.
“যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তান লালন-পালন করেছে, পুত্র সন্তানকে কন্যাদের ওপর প্রাধান্য দেয়নি, তাদেরকে উত্তম আদশ শিক্ষা দিয়েছে, তাদেরকে বিয়ে দিয়েছে, তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করেছে, সে জান্নাত লাভ করবে”। (আবু দাঊদ : ৫১৪৯)
.
একজন পিতা তার কন্যা সন্তানকে মোট সম্পত্তির তিন ভাগের একভাগ দিবে উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রদান করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন;
.
“আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেন; একজন পুরুষের অংশ দু’জন নারীর সমান। আর যদি শুধু নারীই হয় দু-এর অধিক, তাহলে তাদের জন্যে ওই ত্যাজ্য মালের তিন ভাগের দুই ভাগ। আর যদি (কন্যা) একজনই হয় তাহলে সে জন্য অর্ধেক”। (সুরাহ আন-নিসা : ১১)
এখানেও ইসলাম নারীদের অধিকার নিশ্চিত করেছে।
.
সুতারাং ইসলাম ই একামাত্র ধর্ম যেখানে নারীদের অধিকার সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। পৃথিবীর কোন ধর্ম বা জনপদ এই সুযোগ দেয়নি যতটুটু দ্বীন ইসলাম দিয়েছে।
..
رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا
.
“রয্বীতু বিল্লাহি রব্বাওঁ ওয়াবিল ইসলা-মি দ্বী-নাওঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যা”
.
লিল্লাহিল হামদ..
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
.
.
(Y) শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !
collected

লেখক: 
